৫৪ লাখ টন গম রফতানি ইইউর

চলতি বছরের ১ জুলাইয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোয় গমের ২০১৮-১৯ বিপণন মৌসুম শুরু হয়েছে। মৌসুমের প্রথম ১২৭ দিনে (১ জুলাই-৪ নভেম্বর) এসব দেশ থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে কৃষিপণ্যটির সম্মিলিত রফতানি আগের মৌসুমের একই সময়ের তুলনায় ২৪ শতাংশ কমেছে। ইউরোপীয় কমিশনের (ইসি) সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর বিজনেস রেকর্ডার।

গম উৎপাদনকারীদের বৈশ্বিক তালিকায় ইইউভুক্ত দেশগুলোর সম্মিলিত অবস্থান বিশ্বে প্রথম। অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণের পর প্রতি বছর এসব দেশ থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ গম রফতানি হয়। কৃষিপণ্যটির রফতানিকারকদের তালিকায় ইইউভুক্ত দেশগুলোর সম্মিলিত অবস্থান বিশ্বে চতুর্থ।

ইসির প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ মৌসুমের ১ জুলাই থেকে ৪ নভেম্বর সময়ে ইইউভুক্ত ২৮ দেশ থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সব মিলিয়ে ৫৪ লাখ টন গম রফতানি হয়েছে, যা আগের মৌসুমের একই সময়ের তুলনায় ২৪ শতাংশ কম।

২০১৭-১৮ বিপণন মৌসুমের প্রথম ১২৭ দিনে ইইউভুক্ত দেশগুলো থেকে মোট ৭১ লাখ টন গম রফতানি হয়েছিল। সে হিসাবে, এক বছরের ব্যবধানে এসব দেশ থেকে কৃষিপণ্যটির রফতানি কমেছে ১৭ লাখ টন।

এদিকে যব উৎপাদনকারীদের বৈশ্বিক তালিকায় ইইউভুক্ত দেশগুলোর সম্মিলিত অবস্থান বিশ্বে প্রথম হলেও কৃষিপণ্যটির রফতানিকারকদের বৈশ্বিক তালিকায় এসব দেশ সম্মিলিতভাবে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। চলতি মৌসুমের প্রথম ১২৭ দিনে ইইউভুক্ত দেশগুলো থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সব মিলিয়ে ১৯ লাখ টন যব রফতানি হয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে ইসি, যা আগের মৌসুমের একই সময়ের তুলনায় ৪ শতাংশ কম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *