পদকে ভূষিত জীবন ইসলাম

স্টাফ রিপোর্টার

২০২১ সালে জীবন ইসলাম তিনটি পদক পেয়েছেন। ২০১৯ সালে সাংবাদিকতা ও সাহিত্যে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন স্বর্ণপদক গ্রহণ করেন। ২০২১ সালে প্রাপ্ত পদকগুলো হচ্ছে শিশু কিশোরদের সংগঠন ‘আমরা কড়ি’র’ তিন দশক পূর্তি উপলক্ষ্যে কবি ও কথাসাহিত্যিক হিসেবে জীবন ইসলাম কে পদক প্রদান করা হয়। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি’র (ডিআরইউ) পক্ষ থেকে কবি ও লেখকদের টি-শার্ট ও পদক প্রদান করা হয়। শিশু কিশোরদের সংগঠন সংশপ্তক এর ৩১ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে কবি ও কথাসাহিত্যিক হিসেবে জীবন ইসলাম কে পদক প্রদান করা হয়।

জীবন ইসলাম রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট অ্যাসোসিয়েশন ঢাবি ও অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন ঢাবি’র ইতিহাস বিভাগের আজীবন সদস্য, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ), জাতীয় প্রেসক্লাব ও বাংলা একাডেমির স্থায়ী সদস্য এবং টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সহযোগী সদস্য, এনায়েতপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা, কবি ও কথাসাহিত্যিক জীবন ইসলাম পেশায় একজন সাংবাদিক; পাশাপাশি কবিতা ও উপন্যাস লিখে চলেছেন। তাঁর পিতা শেখ মোকবুল হোসেন, মাতা নুরজাহান বেগম।

টাঙ্গাইল জেলার সদর থানার মাকোরকোল গ্রামে এক মুসলিম পরিবারে ১৯৬৪ সালের ৬ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ (অনার্স) এমএ (ইতিহাস) এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। কলেজের লেকচারার হিসেবে কর্মজীবন শুরু; পরে সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেন।

দৈনিক কিষাণ, জনতা ও ভোরের কাগজ পত্রিকায় অর্থনৈতিক প্রতিবেদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি দি ডেইলি অবজারভার পত্রিকায় সিনিয়র অর্থনৈতিক রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত আছেন।

জীবন ইসলাম পেশাগত মান উন্নয়নে প্রশিক্ষণ গ্রহণের পাশাপাশি সাহিত্য ও সংস্কৃতি অঙ্গনে দীর্ঘদিন যাবৎ সদর্পে পদচারণা করে চলেছেন। তিনি ‘ব্যবসা-বাণিজ্য’ বিষয়ক অনুষ্ঠান গ্রন্থনা, উপস্থাপনা ও পরিচালনা করেছেন স্যাটেলাইট চ্যানেল এটিএন বাংলা এবং বিটিবিতে।
২০০৪ সালে ‘আমদানি-রপ্তানি’ সংক্রান্ত শ্রেষ্ঠ রিপোর্টিংয়ের জন্য ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ); ২০০৬ সালে ‘ব্যাংকিং বিষয়ক’ শ্রেষ্ঠ রিপোর্টিংয়ের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের সৌজন্যে ডিআরইউ এবং ২০০৯ এবং ২০১৭ সালে অর্থনৈতিক শ্রেষ্ঠ রিপোর্টিংয়ের জন্য বিআরএফডি তাঁকে পুরস্কৃত করেছে।

কবি ও লেখক হিসেবে দুবার জাতীয় প্রেসক্লাব এবং দশবার ডিআরইউ পদক গ্রহণ করেন। ২০১২ সালে ভোরের কাগজ কর্তৃক ‘কাব্য কান্ডারি’ উপাধি প্রদান করে; ‘সংগঠক’ হিসেবে ২০১৪ সালে বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংবাদিক সমিতি- ঢাকা তাঁকে পদক প্রদান করে। ২০১৬ সালে মানবাধিকার প্রকাশনা সংস্থা কর্তৃক পদক প্রদান করা হয়; একই সালে কবিতা ও সাহিত্যে লোককবি আবদুল হাই মাশরেকী স্মৃতি পদক প্রাপ্ত হন; ২০১৭ সালে জাতীয় শিশু-কিশোর সংগঠন ‘আমরা কুঁড়ি’ এবং ২০১৮ সালে জাতীয় শিশু-কিশোর সংগঠন ‘সংশপ্তক’ কবিতা ও সাহিত্যে বিশেষ অবদান রাখার জন্য তাঁকে পদক প্রদান করা হয়। ২০১৯ সালে সাংবাদিকতা ও সাহিত্যে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন স্বর্ণপদক গ্রহণ করেন। শিক্ষানুরাগী হিসেবে কাতুলী উচ্চ বিদ্যালয় ও বালিয়াপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়, টাঙ্গাইল সদর তাঁকে পদক প্রদান করে।

জীবন ইসলাম’র লেখা গ্রন্থ হৃদয়ে ঠিকানা (১৯৯৮, ২০১১), একটু সুখের জন্য (২০০২, ২০১৬), কাশবনের গাঁ (২০০৪, ২০১৫, ২০১৬), একদিন যমুনায় (২০০৯, ২০১৭), রেবেকার সংসার (২০১২), অরক্ষিত জীবন (২০১৩), ভালো আছি (২০১৪), এইতো জনম (২০১৮), ঢাকায় একরাত (২০১৯), একাত্তরে শিলারা (২০২২)। সম্পাদিত গ্রন্থ- অর্থনীতির বাংলাদেশ (২০০৭); বঙ্গবন্ধুর অর্থনীতি (২০২০)। ‘আরেক জনম দে’ কাব্যগ্রন্থ ছাড়াও যন্ত্রস্থ স্বপ্নের শহর, ‘ভাড়াটিয়া, গ্রাম ও অর্থনীতি’।

কবি জীবন ইসলাম ভারত, নেপাল, মালয়েশিয়া, ওমান ও দুবাইসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছেন। তিনি জয়া ও জ্যোতি দুই কন্যাসন্তানের জনক।কবি প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি বালিয়াপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়’, সদর থানা টাঙ্গাইল। তিনি সাবেক সহ-সভাপতি ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেড। সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংবাদিক ফোরাম, ঢাকা’র অর্থ সম্পাদক, টাঙ্গাইল সাংবাদিক ফোরাম, ঢাকা’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ অনলাইন মিডিয়া ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক।

দুঃসাহসিক খুদে মুক্তিযোদ্ধা কবি জীবন ইসলাম ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের গুলি বহন করতে গিয়ে রাজাকারের হাতে ধরা পড়েন এবং অলৌকিকভাবে বেঁচে যান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *