লোকসানে এসিআই : কম লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত
লোকসানে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এসিআই লিমিটেড। যার প্রভাব পড়েছে লভ্যাংশের ওপর। গত কয়েক বছরের মধ্যে ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত বছরে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের সব থেকে কম লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের ৮০ শতাংশ নগদ এবং ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অর্থাৎ কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা লভ্যাংশ হিসেবে নগদ টাকার পাশাপাশি শেয়ারও পাবেন। এ হিসাবে ১০০টি শেয়ারের বিপরীতে লভ্যাংশ হিসেবে শেয়ারহোল্ডাররা পাবেন নগদ ৮০০ টাকা এবং ১০টি সাধারণ শেয়ার।
কোম্পানিটির কর্তৃপক্ষের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বড় অঙ্কের লভ্যাংশ দিলেও ওষুধ খাতের এ প্রতিষ্ঠানটি মোটা অঙ্কের লোকসানে নিমজ্জিত হয়েছে। ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত বছরে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি লোকসান করেছে ১৮ টাকা ৪৫ পয়সা।
আগের হিসাব বছরেও কোম্পানিটি লোকসানের মধ্যে ছিল। ২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত বছরের শেয়ারপ্রতি লোকসান হয় ১৩ টাকা ৫১ পয়সা। ধারাবাহিকভাবে লোকসান করায় এবং দিন দিন লোকসানের পাল্লা ভারী হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির লভ্যাংশেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে এসিআইয়ের ২০১৬ সাল পর্যন্ত নগদ লভ্যাংশের তথ্য রয়েছে। ওই তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত বছরের আগে কোম্পানিটি কখনো বিনিয়োগকারীদের একশ শতাংশের নিচে লভ্যাংশ দেয়নি।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ১১৫ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেয়। পরের বছর ২০১৭ সালেও একই পরিমাণ লভ্যাংশ দেয় প্রতিষ্ঠানটি। ২০১৮ সালে ১১৫ শতাংশ নগদ এবং তিন দশমিক ৫০ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেয়। আর ২০১৯ সালের ১০০ শতাংশ নগদ এবং ১৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেয় এসিআই।
অর্থাৎ গত দুই বছর থেকে লভ্যাংশ অবনতি হতে থাকে এসিআই এবারই প্রথম একশ শতাংশের নিচে লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিল।
লভ্যাংশের বিষয়ে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের নেয়া সিদ্ধান্ত শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৪ ডিসেম্বর। আর রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১ ডিসেম্বর।
ডিএসই জানিয়েছে, লভ্যাংশ ঘোষণার কারণে আজ কোম্পানিটির শেয়ার দামের কোনো সার্কিট ব্রেকার থাকবে না। অর্থাৎ কোম্পানিটির শেয়ার দাম যত খুশি বাড়তে পারবে। তবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) বেঁধে দেয়া ফ্লোর প্রাইসের নিচে নামতে পারবে না।