২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে ডিমের দাম ডজনে
ডিমের দাম তিন-চার দিনের ব্যবধানে ডজনে ১৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও সেগুনবাগিচা বাজারে প্রতি ডজন বাদামি রঙের ডিম ১৪৫ থেকে ১৫৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। আর সাদা রঙের ডিম বিক্রি হয়েছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায়। চার দিন আগেও বাদামি রঙের ডিম ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকা এবং সাদা রঙের ডিম ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারিতে দাম কিছুটা কমায় খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েছে।
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য বলছে, বর্তমানে প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৩ টাকা। সেই হিসাবে গত এক সপ্তাহে ডিমের দাম ডজনে কমেছে ১৫ থেকে ২১ টাকা। যদিও এক মাসের ব্যবধানে দাম এখনও সাত শতাংশ বেশি রয়েছে।
বাজারে সপ্তাহ দুয়েক আগে থেকে বাড়তে থাকে ডিমের দাম। এক পর্যায়ে ডজনে দাম ১৪০ টাকা থেকে দফায় দফায় বেড়ে ১৭০ টাকা পর্যন্ত ওঠে। দাম বাড়ার জন্য পাইকারি ব্যবসায়ী ও খামারিরা একে অপরকে দুষছিলেন। এমন পরিস্থিতিতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর উৎপাদন ব্যয় হিসাব করে জানিয়ে দেয় ডিমের পিস ১২ টাকার বেশি হওয়া উচিত নয়। অন্যদিকে বাণিজ্যমন্ত্রীর আমদানির হুমকি, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর’র অভিযান শুরু হয়। এসব কারণ ডিমের বাজারে প্রভাব ফেলেছে বলে মনে করছেন অনেকে।
এদিকে শনিবার রাজধানীর উত্তরায় অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে ডিমসহ অন্য নিত্যপণ্যের অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। সংগঠনটির নেতারা বলেন, বাজারে সব পণ্যের দাম বেশি। সিন্ডিকেট করে ডিমের দাম বাড়ানো হয়েছে। একই পরিস্থিতি পেঁয়াজসহ অন্যান্য পণ্যের ক্ষেত্রেও। বাজার কিছু অসাধু সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীর হাতে জিম্মি। যারা কারসাজির মাধ্যমে পণ্য মজুত করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দাম বাড়ায়। তাদের আইনের আওতায় আনা জরুরি।