সৌদি আরবের পণ্য রফতানি বেড়েছে ৪.৪ শতাংশ

স্টাফ রিপোর্টার

গত মার্চে সৌদি আরবের পণ্য রফতানি ৪ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে ১০ হাজার ৬১০ কোটি রিয়ালে দাঁড়িয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে রফতানি ছিল ১০ হাজার ১১০ কোটি রিয়াল। সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছে দেশটির পরিসংখ্যান বিভাগ। খবর আরব নিউজ।

সার্বিকভাবে বছরওয়ারি মার্চে দেশের পণ্য রফতানি কমেছে ২৫ দশমিক ৩ শতাংশ। কারণ হিসেবে দেশটির জেনারেল অথরিটি অব স্ট্যাটিসটিকস (জিএএসটিএটি) থেকে বলা হয়েছে, বছরওয়ারি রফতানি কমেছে মূলত তেলের রফতানি কমে যাওয়ার কারণে। মার্চে তেলের রফতানি ২৬ দশমিক ৫ শতাংশ কমে ৮ হাজার ৩১০ কোটি রিয়ালে দাঁড়িয়েছে। ২০২২ সালের মার্চে রফতানিতে তেলের হিস্যা ছিল ৭৯ দশমিক ৬ শতাংশ। চলতি বছরের মার্চে দাঁড়িয়েছে ৭৮ দশমিক ৩ শতাংশে। শুরুর দিকে জয়েন্ট অর্গানাইজেশন্স ডাটা ইনিশিয়েটিভের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, সৌদি আরবের অপরিশোধিত তেলের রফতানি প্রতিদিন ৬৮ হাজার ব্যারেল বেড়ে ৭৫ লাখ ২০ হাজার বিপিডিতে দাঁড়িয়েছে। মাসিক ভিত্তিতে বেড়েছে উৎপাদন। ফেব্রুয়ারিতে রফতানি ছিল ৭৪ লাখ ৫০ হাজার বিপিডি। এদিকে সৌদি আরবের তেল ব্যতীত অন্যান্য পণ্যের রফতানি বছরওয়ারি ২১ শতাংশ কমেছে। রফতানি দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩০০ কোটি রিয়ালে, বিপরীতে মাসিক ভিত্তিতে রফতানি বেড়েছে ৭ দশমিক ২ শতাংশ বা ১৫০ কোটি রিয়াল।

সৌদি আরবের পণ্য আমদানি ৯ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ১৮০ কোটি রিয়ালে। গত বছর এ সময়ে আমদানি ছিল ৫ হাজার ৬৩০ কোটি রিয়াল। মাসিক ভিত্তিতে আমদানি বেড়েছে ৮ দশমিক ৫ শতাংশ বা ৪৯০ কোটি রিয়াল। জিএএসটিএটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ২০২৩ সালের মার্চে সবচেয়ে বেশি আমদানি করা পণ্য ছিল রাসায়নিক পণ্য। তেল ব্যতীত অন্যান্য মোট রফতানীকৃত পণ্যের ৩২ দশমিক ৩ শতাংশ দখল করে আছে রাসায়নিক পণ্য। চীন সৌদি আরবের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার। মার্চে চীনে ১ হাজার ৮২০ রিয়াল মূল্যের পণ্য পাঠানো হয়েছে, যা মূল রফতানির ১৭ দশমিক ১ শতাংশ। পরের অবস্থানে রয়েছে জাপান ও ভারত। জাপানে রফতানি হয়েছে ১ হাজার কোটি রিয়াল ও ভারতে ৯২০ কোটি রিয়ালের পণ্য। আমদানির ক্ষেত্রেও সৌদির জন্য এগিয়ে রয়েছে চীন। মার্চে দেশের মোট আমদানির ১৯ শতাংশের জোগান দিয়েছে চীন। পরের অবস্থানে ছিল যথাক্রমে যুক্তরাষ্ট্র ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। প্রতিবেদনে জেদ্দাহ ইসলামিক পোর্টকে শীর্ষ বন্দর হিসেবে তুলে ধরা হয়। দেশের মোট বাণিজ্যের ২৬ দশমিক ৫ শতাংশ পরিবাহিত হয়েছে বন্দরটি দিয়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *