সব ধরনের ডালের দাম বেড়েছে

স্টাফ রিপোর্টার

নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জে এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে সব ধরনের ডালের দাম। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলারের রেকর্ড মূল্যবৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতির প্রভাবে দেশের বাজারে ডালের দাম বাড়তে শুরু করেছে। চাহিদা পূরণে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে বাড়তি দামে আমদানি করতে হচ্ছে সব ধরণের ডাল।

বাজারে দেশী মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে। এক সপ্তাহ আগেও এটি বেচাকেনা হয়েছিল ১১৬ টাকা দরে। সে হিসেবে দাম বেড়েছে কেজিতে ৪ টাকা। আর খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা কেজি দরে।

দিল্লি সুপার ডাল বাজারে বেচাকেনা হচ্ছে ১২৯ টাকা কেজি দরে, যা আট-নয়দিন আগেও ১২০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। সে হিসেবে দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৯ টাকা। আর খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা কেজি। মোটা মসুর বেচাকেনা হচ্ছে ৯৯ টাকা কেজি দরে। এটি সাতদিন আগে বিক্রি হয়েছে ৮৮ টাকা কেজি দরে। সে হিসেবে দাম বেড়েছে ১১ টাকা।

খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে। অ্যাংকর ডাল বেচাকেনা হচ্ছে ৬৫ টাকা কেজি দরে, যা এক সপ্তাহ আগে বেচাকেনা হয়েছিল ৬০ টাকা কেজি দরে। খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭৪ টাকা কেজি দরে। ডাব্লি বিক্রি হচ্ছে ৬৩ টাকা কেজি দরে, যা আগে বেচাকেনা হয়েছিল ৫৮ টাকা কেজি দরে। সে হিসেবে দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ৫ টাকা। আর খুচরা বাজারে বেচাকেনা হচ্ছে ৭৫ টাকা কেজি দরে।

ছোলার ডাল বাজারে বেচাকেনা হচ্ছে ৬৫ টাকা কেজি দরে, যা আগে বেচাকেনা হয়েছিল ৫৮ টাকা কেজি দরে। সে হিসেবে দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৭ টাকা। খুচরা বাজারে বেচাকেনা হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে।

খেসারি ডাল বাজারে বেচাকেনা হচ্ছে ৬৬ টাকা কেজি দরে। একই ডাল কয়েকদিন আগেও বেচাকেনা হয়েছিল ৬০ টাকা কেজি দরে। সে হিসেবে দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৫ টাকা। আর খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা করে।

মুগ ডাল বাজারে বেচাকেনা হচ্ছে ১০২ টাকা কেজি দরে। একই ডাল আগে বাজারে বেচাকেনা হয়েছিল ৯৭ টাকা দরে। দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৫ টাকা করে। আর খুচরা বাজারে মুগ ডাল বেচাকেনা হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে।

বাসন্তি ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী বিপ্লব সাহা জানান, হঠাৎ করেই সব ধরনের ডালের দাম বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে মোটা মসুর ডালের বাজারদর। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশে যে ডাল উৎপাদন হয় তা দিয়ে দেশীয় চাহিদা মেটানো সম্ভব নয়। ফলে আমদানির মাধ্যমে চাহিদা মেটাতে হয়। কিন্তু ডলারের ঊর্ধ্বমুখী দামের কারণে বেশি দামে ডাল আমদানি করতে হচ্ছে। এ কারণে স্থানীয় বাজারে বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *