যুক্তরাজ্যে বায়ুবিদ্যুতে ১১০০ কোটি পাউন্ড বরাদ্দ
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বিশাল অফশোর (তীরসংলগ্ন সমুদ্রে) বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য বিনিয়োগের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতের নবায়নযোগ্য জ্বালানি সংস্থা মাসদার ও জার্মান জায়ান্ট আরডব্লিউই যৌথভাবে ১১০০ কোটি পাউন্ড বিনিয়োগ করবে। খবর ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে।
এ তহবিল উত্তর সাগরে যুক্তরাজ্যের জায়ান্ট ডগার ব্যাংক সাইটে টারবাইন নির্মাণে সহায়তা করবে। প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক দুবাইয়ে কপ২৮ জলবায়ু আলোচনায় এ চুক্তির বিষয়টি উন্মোচন করেন। পরিকল্পিত ইয়র্কশায়ার উইন্ড ফার্মটি বিশ্বের বৃহত্তম হবে বলে দাবি করেছে যুক্তরাজ্য সরকার।
ঋষি সুনাক বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের নতুন ডগার ব্যাংক উইন্ড ফার্মে যৌথভাবে ১১০০ কোটি পাউন্ড বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতিসহ মাসদার ও আরডব্লিউইর মধ্যে একটি নতুন চুক্তি ঘোষণা করতে পেরে আমরা আনন্দিত।’
তিনি আরো জানান, এটি যুক্তরাজ্যের নবায়নযোগ্য জ্বালানি শক্তিকে ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে তুলবে। প্রচুর কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। পাশাপাশি ৩০ লাখ বাড়িতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে। যুক্তরাজ্যের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
ডগার ব্যাংক সাউথের মালিকানায় আরডব্লিউইর ৩ দশমিক শূন্য গিগাওয়াট প্রকল্পের ৪৯ শতাংশ শেয়ার কিনবে মাসদার।
দক্ষিণের অংশটি ৩০ লাখ সাধারণ ব্রিটিশ পরিবারকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারে।
প্রকল্পটি চালু হলে ২ হাজার নির্মাণ কর্মসংস্থান ও ১ হাজারেরও বেশি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি করবে। মাসদার জানায়, আগামী বছরের প্রথম প্রান্তিকে এ আর্থিক চুক্তি সম্পন্ন হবে।
যুক্তরাজ্যের শূন্য কার্বন নিঃসরণ নীতি শিথিল করার পরে ঋষি সুনাক জলবায়ু প্রতিশ্রুতি নিয়ে চাপের মুখে পড়েছিলেন। তবে তিনি কপ২৮-এ নেয়া পদক্ষেপকে বাস্তবসম্মত বলে সমর্থন করছেন। কারণ জীবনযাত্রার ব্যয় সংকোচন ব্রিটিশদের প্রভাবিত করছে।
তিনি দাবি করেন যে অন্য কোনো কপ২৮ নেতা তার সাম্প্রতিক জলবায়ু প্রত্যাহারের বিষয়টি উত্থাপন করেননি। ঋষি সুনাক বলেন, ‘কারণ তাদের অধিকাংশ লক্ষ্যই যুক্তরাজ্যের চেয়ে কম উচ্চাভিলাষী।’
প্রসঙ্গত, ঋষি সুনাক সরকারের আমলে কার্বন নিঃসরণ হ্রাসের বিভিন্ন উদ্যোগে কিছুটা ভাটা পড়েছে। জীবনযাপনের খরচ বাড়ায় পরিবহন, ঘর গরম রাখার যন্ত্র থেকে কার্বন নিঃসরণ হ্রাসের উদ্যোগগুলোর বিনিয়োগে স্থবিরতা এসেছে। আগামী বছর নির্বাচনকে সামনে রেখে ঋষি সুনাক জলবায়ু বিনিয়োগে খরচ কমাচ্ছেন। লক্ষ্য দোদুল্যমান ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা। কয়েকদিন আগেও যেখানে যুক্তরাজ্য জলবায়ু ইস্যুতে নিজেদের বিশ্বনেতা বলে দাবি করত, এ নীতি তাদের সেখান থেকে দূরে ঠেলে দিচ্ছে। ঋষি সুনাক পেট্রল ও ডিজেলচালিত গাড়ি নিষিদ্ধ করার সময়সীমা ২০৩০ থেকে বাড়িয়ে ২০৩৫ করতে পারেন।