বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ, ৬৩ রানে নেই ৪ উইকেট
টস হেরে ব্যাট করতে নামার পর দুই ওপেনার মোটামুটি ভালোই সূচনা এনে দিয়েছিলেন। ৪৩ রান করেছিলেন তারা ৫ ওভারে। কিন্তু ৬ষ্ঠ ওভার থেকেই বিপর্যয়ের সূচনা। ৬ষ্ঠ ওভারের প্রথম বলে বিদায় নেন সৌম্য সরকার। সপ্তম ওভারের প্রথম বলে বিদায় নেন শান্তও।
এরপর ভরসা যা ছিল লিটন এবং সাকিবের ওপর। কিন্তু এই জুটিও চরম হতাশ করলো বাংলাদেশের সমর্থকদের। ৯ম ওভারের চতুর্থ বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে বিদায় নেন লিটন দাস। পরের ওভারেরই প্রথম বলে ছক্কা মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনের ওপর অবিশ্বাস্য ক্যাচের শিকার হন সাকিব আল হাসান।
৬৩ রানে পড়লো বাংলাদেশের ৪ উইকেট। এ রিপোর্ট লেখার সময় বাংলাদেশের রান ৯.১ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৬৩ রান। আফিফ হোসেনের সঙ্গে ব্যাটিংয়ে আছেন ইয়াসির আলী রাব্বি।
বিশ্বকাপের আগে ওপেনিং নিয়ে অনেক পরীক্ষা-নীরিক্ষাই করা হলো। মেকশিফট ওপেনার দিয়ে খেলানো হলো। মেকশিফট ওপেনিংয়ে বাজে পারফরম্যান্সের কারণে বিশ্বকাপ দল থেকেই বাদ পড়তে হলো সাব্বির রহমানকে। অন্য যাকে ওপেনিংয়ে নামানো হতো, সেই মেহেদী হাসান মিরাজকে একাদশেই রাখা হয়নি।
শেষ পর্যন্ত অফ ফর্মে থাকা দুই ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্ত এবং সৌম্য সরকারকে দিয়েই বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ওপেনিং করানো হলো। দু’জনের সূচনাটা হয়েছিল বেশ ভালোই। পাওয়ার প্লেকে সর্বোচ্চ কাজে লাগানোর চেষ্টাই করেছেন সৌম্য এবং শান্ত।
প্রথম ৫ ওভারে কোনো উইকেট তো দিলেনই না, বরং স্কোরবোর্ডে রান তুললেন ৪৩টি। কিন্তু সৌম্যর দুর্ভাগ্য, পাওয়ার প্লের শেষ ওভারের, তথা ৬ষ্ঠ ওভারের প্রথম বলেই পুল করতে চেয়েছিলেন; কিন্তু সেভাবে বলটি ব্যাটে আসেনি। দ্রুত গতির বলটি হালকা ইনসুইংয়ের কারণে বল মাঝ ব্যাটে না এসে উপরের অংশে লেগে যায়। যার ফলে মিড উইকেটে সহজ ক্যাচে পরিণত হন সৌম্য।
৪৩ রানের মাথায় পড়লো প্রথম উইকেট এবং ১৪ বলে ১৪ রান করে বিদায় নেন সৌম্য সরকার। শেষ পর্যন্ত পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে বাংলাদেশের রান হলো ১ উইকেট হারিয়ে ৪৭।