পূর্ণ সক্ষমতায় এলএনজি রফতানি করছে মিসর
আন্তর্জাতিক বাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম। বাজার চাঙ্গা থাকার সুবিধা নিতে পূর্ণ সক্ষমতায় পণ্যটি রফতানি শুরু করেছে মিসর। দেশটির দুটি লিকুইফিকেশন টার্মিনালের মাধ্যমে প্রতিদিন ১৬০ কোটি ঘনফুট তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) রফতানি করা হচ্ছে। মিসরের জ্বালানিমন্ত্রী তারেক আল মোল্লা সম্প্রতি এ কথা জানিয়েছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তিনি বলেন, মিসরের প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলন স্থিতিশীল রয়েছে। বর্তমানে দৈনিক ৬৫০-৭০০ কোটি ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে। এলএনজি আকারে পণ্যটির রফতানি ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দেশটির ডামিয়েটা লিকুইফ্যাকশন প্লান্টটি পুনরায় চালু করলে রফতানি বাড়তে শুরু করে। তবে রফতানি কতটা বেড়েছে তা জানাননি তারেক আল মোল্লা। এদিকে আগামী বছরের এপ্রিলে মৌসুমি উত্থান-পতনের অংশ হিসেবে রফতানি কমতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
গ্যাস ও জ্বালানি তেল মিসরের বৈদেশিক বিনিয়োগ ও আয়ের গুরুত্বপূর্ণ উৎস। ২০১৫ সালের পর থেকেই জ্বালানি খাতকে সম্প্রসারণের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে মিসর। আঞ্চলিক গ্যাস বাণিজ্য বাড়াতেও কাজ করছে দেশটির সরকার। জ্বালানিমন্ত্রী রয়টার্সকে বলেন, ইউরোপের জ্বালানি সংকট মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে মিসরীয় প্রাকৃতিক গ্যাস।