দুগ্ধপণ্যের দাম ২.৪% বেড়েছে
অব্যাহত তিন নিলামে নিম্নমুখী থাকার পর অবশেষে গ্লোবাল ডেইরি ট্রেডের (জিডিটি) নিলামে বেড়েছে দুগ্ধপণ্যের মূল্যসূচক। বছরের শেষ সময়ে ঊর্ধ্বমুখী মৌসুমি চাহিদা এক্ষেত্রে অনুঘটকের ভূমিকা পালন করেছে। আগের নিলামের তুলনায় মূল্যসূচক ২ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে।
প্রতি মাসে দুবার দুগ্ধপণ্যের বৈশ্বিক বাজার নিয়ে নিউজিল্যান্ডে সবচেয়ে বড় নিলাম বসে। ফন্টেরা কো-অপারেটিভ গ্রুপ নিলামের আয়োজন করে। বিশ্বের বড় বড় দুগ্ধপণ্য প্রতিষ্ঠান নিলামে অংশ নেয়। সর্বশেষ নিলামে সর্বোচ্চ ৩১ হাজার ৩২৭ টন দুগ্ধপণ্য সরবরাহ করা হয়। এর মধ্যে বিক্রি হয়েছে ২৮ হাজার ৯৮০ টন। এবারের নিলামে অংশ নিয়েছেন ১৬১ জন ব্যবসায়ী ও প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে জয়ী হয়েছেন ১১১ জন। নিলামে প্রতি টন দুগ্ধপণ্যের গড় মূল্য দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৬২৩ ডলারে। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ননিযুক্ত ও ননিবিহীন গুঁড়া দুধের দাম।
জিডিটি নিলামে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ পণ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয় ননিযুক্ত গুঁড়া দুধকে। এটি থেকে খামারিরা সরাসরি লাভবান হন। পণ্যটির দাম আগের নিলামের তুলনায় ৩ দশমিক ১ শতাংশ বেড়েছে। প্রতি টন বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার ৩৯৭ ডলারে।
অন্যদিকে ননিবিহীন গুঁড়া দুধের দামও ৩ দশমিক ১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতি টনের দাম স্থির হয়েছে ৩ হাজার ৫৭ ডলারে। বেড়েছে অ্যানহাইড্রাস মিল্ক ফ্যাটের দামও। পণ্যটির মূল্য দাঁড়িয়েছে টনপ্রতি ৫ হাজার ৭১১ ডলারে, যা আগের নিলামের তুলনায় ২ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি।
এছাড়া অন্যান্য পণ্যের দাম এবারো কমেছে। এর মধ্যে মাখনের মূল্য স্থির হয়েছে টনপ্রতি ৪ হাজার ৮২৯ ডলারে, যা আগের নিলামের তুলনায় দশমিক ৮ শতাংশ কম। তবে মাখনযুক্ত গুঁড়া দুধ নিলামে প্রস্তাব করা হয়নি। চেডার পনিরের দাম ১ দশমিক ৩ শতাংশ কমে টনপ্রতি ৪ হাজার ৭৪৬ ডলারে বিক্রি হয়েছে। ল্যাকটোজের দাম কমেছে ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। প্রতি টন লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ২৩৬ ডলারে।