ডলার সংকট কেটে গেছে জ্বালানিতে, দাবি সচিবের
জ্বালানি খাতে ডলার সংকট কেটে গেছে বলে দাবি করেছেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব ড. খায়েরুজ্জামান মজুমদার। তিনি বলেন, ‘মিডিয়ায় অনেক সময় খবর আসছে ডলার সংকটের। কিন্তু এখন প্রতি সপ্তাহে ৮০ থেকে ৯০ মিলিয়ন ডলার ছাড় করা হচ্ছে। যে বকেয়া ছিল এক দুই সপ্তাহের মধ্যে পরিশোধ হয়ে যাবে।’
জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস উদযাপন উপলক্ষে বুধবার ভার্চুয়ালি আয়োজিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে সচিব এ দাবি করেন। আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।
জ্বালানি ব্যবহারে সবাইকে আরও দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ড. তৌফিক বলেন, ‘সরবরাহ চেইনে জ্বালানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে। আমাদের আচরণগত পরিবর্তন দরকার। পকেটে টাকা থাকলেই অপচয় করা যাবে না। কৃষিতে পরিকল্পিতভাবে পানির ব্যবহার রোধ করা হলে বিদ্যুতের খরচ কম ও জ্বালানি সাশ্রয় হবে। ভবিষ্যতে নিশ্চিত হবে পানির রিজার্ভ।‘
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, বাংলাদেশের জ্বালানির নিরাপত্তা নিশ্চিত করে গেছেন বঙ্গবন্ধু। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জ্বালানি নিরাপত্তায় আঞ্চলিক সহযোগিতার ওপর জোর দিয়েছেন।
বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব হাবিবুর রহমান বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে সংগতভাবেই খাদ্য নিরাপত্তাকে জোর দেওয়ার কথা। কিন্তু বঙ্গবন্ধু সংবিধানে বিদ্যুৎকে মৌলিক অধিকারে অন্তর্ভুক্ত করেন। কম দেশেই বিদ্যুৎকে মৌলিক অধিকারের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার বলেন, দেশজুড়ে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি তেল সরবরাহের নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চাহিদা ও সরবরাহের রূপরেখা প্রস্তুত করে দেশীয় গ্যাস উৎপাদনের পাশাপাশি এলএনজি আমদানির সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
আলোচনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন চেয়ারম্যান এবিএম আজাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া, এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ারের সম্পাদক মোল্লাহ আমজাদ হোসেন প্রমুখ।