চীনের বাজারে এনইভির বিক্রি ১৩৭ শতাংশ বেড়েছে
চীনে নতুন জ্বালানির গাড়ি (এনইভি) বিক্রি বেড়েছে। যদিও গত মাসে দেশটিতে সামগ্রিকভাবে যাত্রীবাহী গাড়ি বিক্রি কমে গেছে। সরবরাহ ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধকতার কারণে উৎপাদন কমে যাওয়ায় বিক্রিও পতন হয়েছে। এনইভি গাড়ির মধ্যে বিদ্যুচ্চালিত, হাইব্রিড ও ফুয়েল সেল বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। খবর সিজিটিএন।
চায়না প্যাসেঞ্জার কার অ্যাসোসিয়েশনের (সিপিসিএ) তথ্য অনুসারে, মার্চে ৪ লাখ ৪৫ হাজার ইউনিট এনইভি বিক্রি হয়েছে। এ সংখ্যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩৭ দশমিক ৬ শতাংশ কম। কাঁচামালের দাম বাড়ার কারণে এনইভি নির্মাতারা মূল্য বাড়িয়ে দেয়ার আগেই গাড়ি কিনতে প্রতিযোগিতায় নেমেছেন ক্রেতারা।
সিপিসিএ জানিয়েছে, চীনের নেতৃস্থানীয় এনইভি প্রস্তুতকারক বিওয়াইডি গত মাসে ১ লাখ ৪ হাজার ৩৩৮ ইউনিট গাড়ি সরবরাহ করেছে। যেখানে মার্কিন বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি নির্মাতা টেসলা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬৫ হাজার ৮১৪ ইউনিট গাড়ি সরবরাহ করেছে। যদিও দেশটির গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো মার্চে ২২ লাখ ৪০ হাজার ইউনিট গাড়ি তৈরি করেছে। এ সংখ্যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ দশমিক ১ শতাংশ কম।
গত মাসে বিশ্বের বৃহত্তম গাড়ির বাজারে অটোমোবাইলের বিক্রি কমেছে। মার্চে দেশটিতে গাড়ি বিক্রি ১০ দশমিক ৫ শতাংশ কমে ১৫ লাখ ৭০ হাজার ইউনিটে দাঁড়িয়েছে।
কয়েক সপ্তাহ ধরে আবারো কভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের মুখোমুখি হয়েছে চীন। দেশটিতে ওমিক্রনের সংক্রমণ ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। জিরো কভিড নীতির আওতায় দেশটির অনেক শহরে লকডাউনসহ কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান উৎপাদন কেন্দ্র জিলিন ও সাংহাই প্রদেশও বিধিনিষেধের মধ্যে রয়েছে। দেশটিতে মোট গাড়ি উৎপাদনের ২৮ শতাংশই উৎপাদন হয় এ দুই অঞ্চলে।
গত ২৮ মার্চ থেকে টেসলা সাংহাইয়ের উৎপাদন কারখানা বন্ধ রেখেছে। পাশাপাশি বিদ্যুচ্চালিত যানবাহন নির্মাতা নিও সম্প্রতি জানিয়েছে, কভিডজনিত বিধিনিষেধে সরবরাহকারীদের কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় সংস্থাটির গাড়ি উৎপাদন স্থগিত করা হয়েছে।
জিলিন, জিয়াংসু ও সাংহাই প্রদেশ এবং অন্যান্য অঞ্চলে নিওর সরবরাহ ব্যবস্থার অংশীদারদের কারখানা রয়েছে। সংক্রমণ বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে আরোপিত নিষেধাজ্ঞায় মার্চ থেকে সংস্থাগুলোর উৎপাদন ধারাবাহিকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
সম্প্রতি ব্যাটারি জায়ান্ট সিএটিএল জানিয়েছে, সংস্থাটি উৎপাদন কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে প্রধান কারখানাগুলোয় একটি ‘ক্লোজড-লুপ ম্যানেজমেন্ট’ পদ্ধতি প্রয়োগ করেছে। এ ব্যবস্থা একটি কভিড বাবল ব্যবস্থার অনুরূপ, যেখানে কর্মীরা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সমাজের বাকি অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন জীবনযাপন করে। এ ব্যবস্থায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কর্মস্থলে কিংবা কর্মস্থলের আশপাশে কর্মীদের থাকার জায়গা করে দেয়া হয়।