আকাশী উৎসব থামিয়ে সেমিতে রিয়াল মাদ্রিদ

স্টাফ রিপোর্টার

এই ম্যাচের জন্য সব প্রস্তুতিই নিয়ে রেখেছিল ম্যানচেস্টারের একাংশ। ইতিহাদ স্টেডিয়ামের গ্যালারি ছেঁয়ে গিয়েছিল আকাশী রংয়ের উৎসবে। তবে উৎসব ঠিক হলো না, হতে দিলো না রিয়াল মাদ্রিদ। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে ১-১ গোলে সমতার পর টাইব্রেকারে ম্যানচেস্টার সিটিকে ৪-৩ ব্যবধানে হারিয়ে সেমিফাইনালে চলে গেল কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাতে ম্যাচে রদ্রিগো রিয়ালকে এগিয়ে নেওয়ার পর সমতা টানেন কেভিন ডি ব্রুইন। তাতে নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ে ১-১ গোলে সমতায় থাকে ম্যাচ। পেনাল্টি শুটআউটে দুটি শট ঠেকিয়ে ব্যবধান গড়ে দেন আন্দ্রে লুনিন। এর আগে দুই দলের প্রথম লেগ ৩-৩ গোলে ড্র হয়েছিল।

ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক হয়ে খেলতে থাকে সিটি। বিপরীতে পাল্টা আক্রমণে দ্বাদশ মিনিটে এগিয়ে যায় রিয়াল। দানি কারভাহালের উঁচু করে বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে জুড বেলিংহ্যাম পাস দেন ফেদে ভালভার্দেকে। তার পাস ধরে ভিনিসিউস জুনিয়র হয়ে বল পান রদ্রিগো। প্রথমে ব্যর্থ হলেও ফিরতি শটে জাল খুঁজে নেন ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার।

গোল খেয়েও আক্রমণ চালিয়ে যেতে থাকে সিটি। ১৯তম মিনিটে একটি ভালো সুযোগ মিস করেন আরালিং হালান্ড। এরপর আরেকটি দারুণ সেভ করেন রিয়ালের কিপার লুনিন। প্রথমার্ধে রিয়ালও কয়েকটি ভালো সুযোগ পায়। তবে জাল খুঁজে নিতে না পারায় ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় তারা।

দ্বিতীয়ার্ধেও একই ধারায় খেলতে থাকে ম্যানসিটি। তাতে আবারও রিয়ালের ত্রাতা লুনিন। জ্যাক গ্রিলিশের জোরাল ভলি ফিরিয়ে দেন ইউক্রেনের এই গোলরক্ষক। ৭০তম মিনিটে গ্রিলিশকে আরেকবার হতাশ করেন তিনি। অবশেষে ৭৬তম মিনিটে সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা।

মাঠের বাঁ দিকের বাইলাইনের কাছাকাছি থেকে জেরেমি ডোকুর নিচু শট ক্লিয়ার করতে পারেননি রুডিগার। কাছ থেকে চমৎকার শটে বল জালে পাঠান ডি ব্রুইন। এই গোলের পর আরও কয়েকটি সুযোগ হেলায় হারায় সিটি। ফলে আর এগিয়ে যাওয়া হয়নি পেপ গার্দিওলার শিষ্যদের।

অতিরিক্ত সময়েও যথারীতি আক্রমণে আধিপত্য ধরে রাখে সিটি। প্রথমার্ধে গোলরক্ষককে তেমন পরীক্ষায় অবশ্য ফেলতে পারেনি তারা। এই অর্ধের যোগ করা সময়ে সুযোগ আসে রুডিগারের সামনে, তবে কাছ থেকে রিয়াল ডিফেন্ডারের প্রচেষ্টা লক্ষ্যে থাকেনি।

সেমিফাইনালে রিয়ালের প্রতিপক্ষ অবশ্য সহজ নয়। জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখকে পেয়েছে প্রতিযোগিতাটির রেকর্ড ১৪ বারের চ্যাম্পিয়নরা। এদিনই আরেক ইংলিশ ক্লাব আর্সেনালকে হারিয়ে শেষ চারের টিকেট নিশ্চিত করে ছয়বারের শিরোপাজয়ী বায়ার্ন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *